১৯৭২ সালের আগষ্টে ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীন দেশে এটি হলো বেতারের সর্বপ্রথম স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি আর্কাইভিং স্থাপনা। ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসেই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ বেতারে ডিজিটাল যুগের সূচনা হয় তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়্যিদ ১৮ জুন ২০০১ সালে ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে ডিজিটাল আর্কাইভিং কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে। ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের টেপলাইব্রেরীতে প্রায় ১২,০০০টি টেপ রয়েছে। যাতে ধারণকৃত রয়েছে লোকসঙ্গীত, লোকনাট্য, বিশিষ্ট ও খ্যাতনামা শিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ, কবি সাহিত্যিকদের সাক্ষাতকার, গান, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের ভাষণ সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ধারাবিবরণীসহ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-এর মত দূর্লভ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ের ভাষণ রয়েছে। আর্কাইভিং এ সংরক্ষিত যে কোন অনুষ্ঠান জাতীয় পর্যায়ে ছাড়াও বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সকল হাইকমিশন, দূতাবাস/মিশনে চাহিদা অনুযায়ী অতি দ্রুত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।আর্কাইভিং এর পাশাপাশি এই সার্ভিসের স্টুডিওতে নির্মিত ও সংরক্ষিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের সম্পৃক্ত ও অবহিতকরণের লক্ষে ২০০৪ সাল থেকে এফ এম ১০০ মেগাহার্জে বেলা ১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা ব্যাপি অধিবেশন প্রচার হয়ে আসছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে এ ইউনিট বিভিন্ন সময় এবিইউ, এআইবিডি এওয়ার্ড ইত্যাদি পুরস্কার প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করে। ইতিহাস ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি একটি জাতির অগ্রযাত্রার পথকে মসৃন করে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস একটি মূল্যবান অংশীদার অতীতের মত আজ ও আগামীর।