স্বাধীনতা লাভের পরে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেল একটি প্রকল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার পর থেকেই এটি দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং জনগণের মধ্যে অধিক জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। পরবর্তী সময়ে এর গুরুত্ব অনুধাবণ করে সরকার ১৯৯৮ সালের ১ জুলাই এই প্রকল্পটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে। বর্তমানে এই শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় বেতার প্রশাসনিক ভবনের ৪র্থ তলা থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় বাংলাদেশ বেতারের জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেল পরিকল্পিত পরিবার গঠন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে শ্রোতানন্দিত নানা অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। প্রধান সেল ও উপ-সেল থেকে গড়ে প্রতিদিন ৩৬০ মিনিট অনুষ্ঠান প্রচার হয়।জনসংখ্যা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেল থেকে নাটক, গান, জিঙ্গেল, ম্যাগাজিন, আলোচনা, কথিকা, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান, ফোন ইন, ইত্যাদি আঙ্গিকে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে। -মানিকচাঁন্দের কিসসা, পারুলের সংসার, জরিনার সুখ দুঃখ, জীবনের বায়োস্কোপ, জীবনের গল্প ইত্য্যাদি ধারাবাহিক নাটক ব্যাপক শ্রোতা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বর্তমানে ধারাবাহিক নাটক কাশ বনের জোনাকী, ফোন ইন অনুষ্ঠান চিঠিপত্রের জবাবের অনুষ্ঠান ডাকবাক্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক চিঠিপত্রের জবাবের অনুষ্ঠান “আপনি কেমন আছেন” অনুরোধের আসর কথায় গানে সংগীত মালা আমাদের কথা আমাদের গান ইত্যাদি অনুষ্ঠান শ্রোতাদের নিকট ব্যাপক জনপ্রিয়।