১। উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১
উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১, বাংলাদেশ বেতার, সাভার ১৯৬২ সালে প্রাথমিকভাবে ১টি ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৮১৯ কিলোহার্জের মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার দিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী কালে ১৯৬৮ সালে ১টি ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটার দিয়ে বহির্বিশ্বে অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। এ দপ্তরের প্রেরণ যন্ত্রের মাধ্যমে ৬৩০ কিঃ হাঃ ফ্রিকোয়েন্সিতে ২x৫০ কিঃ ওঃ ( তোসিবা, জাপান) ও ১ টি ৫০ কিঃ ওঃ ( এন এম জি, ইরান) বাণিজ্যিক কার্যক্রম (ঢাকা-খ) বা ক্ষেত্রবিশেষে জাতীয় অনুষ্ঠান (ঢাকা-ক) অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। অন্যদিকে এ দপ্তরের অধীন কল্যাণপুরস্থ নিম্নশক্তি প্রেরণ কেন্দ্রের ২০কিলোওয়াট প্রেরণ যন্ত্র দ্বারা ঢাকা-গ এর অনুষ্ঠান ১১৭০ কিলোহার্জে প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য, কল্যাণপুরস্থ ৫ কিলোওয়াট প্রেরণ যন্ত্র (মার্কনি) দিয়ে ১৯৩৯ সালে বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়।
২। উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-২
উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-২, বাংলাদেশ বেতার, সাভার কেন্দ্রর ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটারটি ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তার কার্যক্রম শুরু করে। কেন্দ্রটি থেকে প্রথমে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান ইত্যাদি দেশে অনুষ্ঠান প্রচার করা হত। বহির্বিশ্বে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে ট্রান্সমিটারটি স্থাপন করা হলেও পরবর্র্তী কালে এই ট্রান্সমিটারটি লিংক ট্রান্সমিটার হিসাবে হোম সার্ভিসে অনুষ্ঠান প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার ধামরাইয়ের ১০০০ কিলোওয়াট মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটারের পাশাপাশি ঢাকা ‘ক’ এর অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে।
৩। উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-৩
বাংলাদেশ বেতার, নওয়াপাড়া প্রেরণ কেন্দ্রটি ২৮ এপ্রিল ১৯৮১ সাল থেকে ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটার দ্বারা সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। এ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান এবং ঢাকা “ক” এর জাতীয় অনুষ্ঠান ও সংবাদ ৫৫৮ কিলোহার্জে প্রচারিত হয়।
৪। উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-৪
২২ জুন ১৯৫৪ সালে কালুরঘাট, চট্টগ্রাম থেকে ১ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মধ্যম তরঙ্গ ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬২ সালে কেন্দ্রের ট্রান্সমিটারের ক্ষমতা ১০ কিলোওয়াটে উন্নীত করা হয় এবং একই সাথে কালুরঘাট কেন্দ্রকে প্রেরণ কেন্দ্রে রূপান্তর ও আগ্রাবাদে নতুন প্রচার ভবন তৈরি করা হয়। ১৯৮৮ সালে কালুঘাট, চট্টগ্রাম কেন্দ্রটি ১০০ কিলোওয়াটে উন্নীত করা হয়। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান এবং ঢাকা ‘ক’ এর জাতীয় অনুষ্ঠান ও সংবাদ ৮৭৩ কিলোহার্জে প্রচারিত হয়। উল্লেখ্য, কালুরঘাট প্রেরণ কেন্দ্র ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের মধ্যদিয়ে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ নামে খ্যাতি লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ বেতার কালুরঘাট কেন্দ্রের এ গৌরবময় অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে বাংলাদেশ বেতারকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করে।
৫। উচ্চশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-৫
বাংলাদেশ বেতার, কাহালু, বগুড়া কেন্দ্রটি ১৯৮৯ সালে প্রাথমিকভাবে ২টি ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার দিয়ে পরীক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৮ সালে নতুন ১টি ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিটার প্রতিস্থাপন করা হয়। রাজশাহী কেন্দ্রের স্থানীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় অনুষ্ঠান ১০৮০ কিলোহার্জে রিলে করে সম্প্রচার করে থাকে।