১৯৫৪ সালে রাজশাহীর আনসার ক্লাবে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান এর যাত্রা শুরু হয় ১কি: ওয়াট ট্রান্সমিটার দিয়ে এবং ১৯৫৬ সালে তা স্থানান্তরিত হয় কাজলা কুঠিতে। পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালে ষ্টুডিওসহ ১০কি: ওয়াট ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয় রাজশাহী মতিহারে। এর পর ১৯৬৩ সালের ১লা মার্চ দু’ঘন্টার নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হয়, যার উদ্বোধন করেন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক গভর্নর। অনুষ্ঠান ঘোষনায় ছিলেন রাজশাহীর এ,এইচ,এম সাঈদ ও ঢাকার রশীদুন নবী। সজীব অনুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী ছিলেন রাজশাহীর আব্দুল মালেক খান ও নাসরীন আহমেদ। ১৯৬৪ সালের ১৬ই নভেম্বর রাজশাহীর কাজী হাটাতে স্থাপন করা হয় ৭টি ষ্টুডিও সম্বলিত বর্তমান বেতার ভবন। সেই বছর অর্থাৎ ১৯৬৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠান প্রচারের মধ্যে দিয়ে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ এই বেতার ভবন। ১৯৬৩ সালের মার্চ থেকে অডিশনের মাধ্যমে সংগীত/ নাটক/ উপস্থাপনা এর শিল্পী নির্বাচন শুরু হয় । বর্তমানে রাজশাহী বেতারের সংগীত, নাটক, উপস্থাপনা ও শিশু শিল্পী সহ প্রায় ৯৫০ তালিকাভূক্ত শিল্পী রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী বেতার কেন্দ্র হতে মিডিয়াম ওয়েভে ১০কি: ট্রান্সমিটার (মতিহারে) ১০০ কি: (বগুড়ার কাহালুতে) ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রচার ছাড়াও এফ এম- ৮৮.৮ এফ এম ৯০.০ এবং এফ এম ১০৪ মেগাহার্জে অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণশিক্ষা, শিশু ও নারী, ক্রীড়া, গান, নাটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি প্রতি ঘণ্টার জাতীয় সংবাদ ও ৩টি নিজস্ব স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয় এ কেন্দ্র থেকে। এ কেন্দ্রের বিশেষ অনুষ্ঠানসমূহ হলো প্রাত্যহিক রেডিও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘স্পন্দন’, কৃষিজীবিদের অনুষ্ঠান ‘সবুজ বাংলা’, নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘জীবন জীবনের জন্য’ ইত্যাদি।