বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজার কেন্দ্রটি ২০০১ সালের ২৪ শে মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে’সময়ে প্রধান মন্ত্রী থাকাকালীন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে এ’কেন্দ্রটি কক্সবাজার অঞ্চলের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ’ কেন্দ্র থেকে ০৫ (পাঁচ) ঘন্টার ( বেলা ১১.৪৫ টা থেকে বিকেল ০৪.৪৫ টা পর্যন্ত) অনুষ্ঠান কার্যক্রম এ এম এবং এফ এম উভয় ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। যার মধ্যে একটি স্থানীয় বাংলা সংবাদসহ ০৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট নিজস্ব অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। এ’ছাড়া গত ০১ ফেব্রূয়ারি ২০১৪খ্রিঃ থেকে এ’কেন্দ্র হতে ১০ কিলোওয়াট এফ.এম ট্রান্সমিটারে ১০০.৮ মেগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে প্রতিদিন ০৪টি শ্লটে, সকাল ৬.৩০টা - সকাল ৭.০০টা, সকাল ৭.৩০টা - সকাল ৮.০০টা এবং সন্ধ্যা ৭.৩০টা - রাত ৮.০০টা ও রাত ১০.৩০টা বিবিসি’র বাংলা সংবাদ ú্রচারিত হচ্ছে। কক্সবাজার কেন্দ্রটির বিশেষায়িত রূপ হচ্ছে- এ’কেন্দ্র থেকে উপকূলীয় জনগণের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা সাজানো হয়ে থাকে। এ’ছাড়া এ অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিও তুলে ধরা হয় এ’ কেন্দ্রের প্রচারিত অনুষ্ঠানমালায়। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রচার প্রচারনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেতার, কক্সবাজার কেন্দ্রটি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে থাকে।১৯৯৬-’৯৭ সালে কক্সবাজার বেতার কেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ২০ একর পাহাড়-সমতল জায়গার উপর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত এ স্বয়ংসম্পূর্ন বেতার কেন্দ্রটি ২০০৪ সালে বেতার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রটি কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার লিংকরোড এলাকায় কক্সবজার-টেকনাফ সড়কের মুহুরী পাড়া নামক স্থানে অবস্থিত। পর্যটন শহর কক্সবাজার থেকে এটি ০৮ কি.মি. দূরে শহরের প্রবেশ মুখে অবস্থিত।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল রেখা বরাবর কক্সবাজার জেলা অবস্থিত। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত জুড়ে এ জেলার অবস্থান। এছাড়া কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর মত ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ এবং পর্যটন আকর্ষক সেন্টমার্টিন দ্বীপটিও এ জেলায় আবস্থিত। জনগণের জীবনমান উন্নীতকরণের জন্য বেতার অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে তথ্য প্রদান, শিক্ষাদান, সচেতনতা সৃষ্টি করা এর প্রচার কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য।